কুমিল্লা বিএডিসি পরিবারের জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা বিএডিসি সেচ ভবনে কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, কাঙ্গালী ভোজ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫আগষ্ট ২০২০খ্রিঃ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কুমিল্লা জেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সামগ্রিক অংশ গ্রহনে বিএডিসি পরিবার সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেন। উক্ত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে দিবসের শুরুতে অথাৎ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল দপ্তরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

এর পর সকাল ৯.১৫ ঘটিকায় ১৯৭৫ সনের ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্বা জানানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।পরে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। খান মোঃ ফয়সাল আহম্মদ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ,কুমিল্লা এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দ চন্দ্র দাস, যুগ্ম-পরিচালক(বীপ্র এবং সার), বিএডিসি, কুমিল্লা এবং

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান (মুক্তিযোদ্ধা সন্তান), প্রকল্প পরিচালক (সিসিবিউআইএডিপি), বিএিডিসি, কুমিল্লা নিগার হায়দার খান, উপ পরিচালক(বীবি), বিএডিসি,কুমিল্লা, খন্দকার মোফিজুল ইসলাম , সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিশোধ ,কুমিল্লা, এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ নুরুল ইমাম, অঞ্চলিক হিসাব নিয়ন্ত্রক, কুমিল্লা, মোঃ ইয়াকুব আলী, সহকারী প্রকৌশলী, ক্ষুদ্রসেচ, বিএডিসি, কুমিল্লা, বিএডিসি সিবিএর সভাপতি কুমিল্লা জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ মাকসুদ আলম সহ আরো অনেকে।

প্রধান অতিথি তার দীর্ঘ বক্তব্যে জাতির পিতা সর্ম্পকে উল্লেখ করেন,যে মানুষটি মাত্র ৫৫ বছর জীবনে ৩ হাজার ৫৩ দিন কারা ভোগ করেছেন; তাও তার কোন ব্যক্তিগত অপরাধে নয়। বার বার তিনি কারাগারে গিয়েছেন মানুষের কথা, দেশ ও জাতির কথা বলতে গিয়ে, জাতির মুক্তি ও জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দেয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের রাজনীতির সাধনার মূলে অন্যতম আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ। এ দুটি আদর্শে পরিচালিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ। ব্যক্তিমানুষ হিসাবে তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলেও সব ধর্মের মানুষের প্রতি ছিল তার সমান ভালবাসা। সেখানে বিশ্ব মানবতাবোধ তাকে তাড়িত করেছে। বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবতাবাদী আদর্শকে স্মরণ করতে চাই।

বর্তমান বাংলাদেশেও অসাম্প্রদায়িক চেতনা তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লালনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এর মূলে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, এর মূলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে ছিলেন আলজেরিয়ার রাজধানী আলজেরিয়ার্সে। সারা বিশ্বের কাছে তখন তিনি আত্ম মর্যাদা সম্পন্ন এবং সাম্রাজ্য বিরোধী মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে এসেছিলেন একই সম্মেলনে অংশ নেয়া কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো।

এ সম্মেলনে আরো বৈঠক হয় লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফি ও সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে। তারা সকলে বঙ্গবন্ধুকে শর্ত দেন, বাংলাদেশকে ইসলামিক রিপাবলিক ঘোষনা করলে তাঁরা স্বীকৃতিসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পালটা জবাব দেন, ‘এটা সম্ভব নয়।’ কারন, বংলাদেশ সবার দেশ। মুসলমান,অমুসলমান সবার’ই দেশ।’ বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন নিজ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে রক্ষায় কতটা দৃঢ়চেতা ছিলেন তা তাঁর উপরে উল্লেখিত বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় ।

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হলেও এখানে ১ কোটির উপর অমুসলিম রয়েছে। সবাই একসংঙ্গে মুক্তিযুদ্বে অংশ নিয়েছে, সব সম্প্রদায়ই নির্যাতিত হয়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পরম কুরুনাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবার স্রষ্টা- হিন্দু হোক, খ্রিষ্টান হোক, মুসলমান হোক, বৌদ্ধ হোক সব মানুষ তাঁর কাছে সমান।১৯৭৪ সালে বংলাদেশ আওয়ামীলীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, রাজনীতিতে যারা অসাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে, যারা সাম্প্রদায়িক তারা হীন, নিচ, তাদের অন্তর ছোট। যে মানুষকে ভাল বাসে সে কোনদিন সাম্প্রদায়িক হতে পারে না।

সকল ধর্মের মানুষই তার কাছে সমান।পৃথিবিতে অসাম্প্রদায়িকতা এখন বড় সমসা হয়ে দেখা দিয়েছে। জাতি-ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে এক সঙ্গে বসবাস করতে গেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, তার আদর্শ, তার দর্শন চর্চা করতে পারলে তার স্বপ্নের সত্যিকারের সোনার বংলা গঠন করা সম্ভব হতো।

তাই, বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে তার অাদর্শে লালিত সোনার বংলা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারই উত্তরসুরি এবং সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের সর্বকালের শ্রেষ্ট প্রধান মন্ত্রী তথা বিশ্বের সফলতম নারী নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান করতে আজ সক্ষমতা অর্জন করেছেন।

এ দেশের মানুষ কে তিনি উন্নয়নের পথ দেখিয়েছেন। সমাজে মনুষের মৌলিক অধিকারের সকল দিক বাস্তবায়িত হয়েছে। কৃষিবিদের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পযুক্তিগত উন্নতি সাধনের মাধ্যমে কৃষক ও কৃষিজীবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কৃষি বান্ধব সরকারের দিক নির্দেশনায় আজ আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশে বসবাস করছি। খাদ্য-পুষ্টিতেও আজ দেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ন।

খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও দেশ আজ অগ্রনি ভুমিকা পালন করে আসছে। দেশের আভ্যন্তরিন ও বৈদেশিক যোগাযোগ ও যাতায়াতের ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। বিঞ্জান ও প্রযুিক্তগত দিকেও আজ আমরা উন্নত দেশের শামিল হয়েছি। শিক্ষা, সাংস্কৃতি, স্বাস্থ্য ও মাতৃ-মৃত্যুর হার ইত্যাদি ক্ষেত্রেও দেশ অনেকটা এগিয়ে রয়ে

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!